জনাব আকবর হোসেন

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক

জনাব আকবর হোসেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে প্রকল্পের দায়িত্বের পাশাপাশি ২১/০৩/২০১৭ তারিখ হতে ৩০/০৬/২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনাব আকবর হোসেন ২০১৬ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আমার বাড়ি আমার খামার (পূর্ব নাম- একটি বাড়ি একটি খামার) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে এ যাবতকালে গৃহীত সর্ববৃহত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বা প্রকল্প সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে প্রকল্পটিকে সমাপ্ত করেছেন এবং প্রকল্পটিকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে রুপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি প্রকল্পে দায়িত্ব পালনের পূর্বে যুগ্মসচিব হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং সেলের (যা পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত) নেতৃত্বে সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করেছেন। উপসচিব হিসেবে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার (উপসচিব) হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যান্সডকে সফল দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ১৯৮৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করেন। কর্মজীবনের ধারাবাহিকতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানা ম্যাজিস্ট্রেট, চার্জ অফিসার (ভুমি জরিপ অধিদপ্তরে), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী বায়োটেকনোলজী উপদেষ্টা, সিনিয়ির সহকারী সচিব, সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে সফলভাবে কাজ করেছেন। কক্সবাজারে কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে ক্যাম্প ইন চার্জ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। দেশের বাহিরে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসে শ্রম কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মৃতপ্রায় লিবিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। 

তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানকার সুফলাকাঠী হাই স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এসএসসি, যশোর এমএম কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৮৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশে বিদেশে বিভিন্ন ইনসার্ভিস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ ও সরকারী কাজে তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, চীন, তিউনিশিয়া, মাল্টা, চাদ, ফ্রান্স, জার্মানী, ইউকে, ইউএসএ সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। তার মা রহিমা বেগম ২০১৪ সালে জয়ীতা ‘রত্নগর্ভা মা’ (উপজেলা) সম্মাননা পেয়েছেন। স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার।